গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন চিলনী এলাকায় চিলনী বিলে ভাসমান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নিহতের নাম পরিচয় অজ্ঞাত।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, শিমুল মোল্লা (৩০)। তিনি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন কামারিয়া গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। অপরজন একই এলাকার রুস্তম খানের ছেলে শরীফ খান (২৮)।
নিহত এবং হত্যায় জড়িত সকলেই পূর্ব পরিচিত এবং একসাথে মাদকের ব্যবসায় জড়িত। মাদকের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার (মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত আসামীরা প্রত্যেকেই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী। এমনকি ভিকটিম নিজেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। ভিকটিম প্রায়শ ইয়াবা চালান এনে ঘটনায় জড়িত আসামীদের নিকট পৌছিয়ে দিত। ইয়াবা চালান নিয়ে ভিকটিম আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম হতে গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানাধীন বাড়ীয়া এলাকায় আসলে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা পূর্বের ইয়াবার টাকা ও ঘটনার দিনের সরবরাহকৃত ইয়াবার টাকা না দেওয়ার উদ্দ্যেশে ভিকটিমকে মারধর করে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য প্লাষ্টিকের চট দিয়ে পেচিয়ে মামলার ঘটনাস্থলে চিলনি বিলে মাছের প্রজেক্টে নিয়ে লাশটি পানিতে ডুবিয়ে দেয়।
পরে চলতি বছরের গত ২৯ মার্চ অজ্ঞাতনামা পুরুষের আংশিক পঁচা গলিত মৃতদেহ চিলনী বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে জয়দেবপুর পুলিশ। পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এবং থানার এসআই (নিঃ) ননী গোপাল সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনায় জড়িত আসামী শিমুল মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘ দিন এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সহযোগী আসামীরাও প্রত্যেকেই ইয়াবার ব্যবসা করে। অজ্ঞাতনামা ভিকটিম নিয়মিতভাবে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা এনে আসামীদের নিকট সরবরাহ করত। মামলার ঘটনার দিন ভিকটিম ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) পিচ ইয়াবা নিয়ে আসামীদের নিকট পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে আসে। উক্ত ইয়াবার টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাতানাম ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য মামলার ঘটনাস্থল চিলনী বিলের মাছের প্রজেক্টের পানিতে লুকিয়ে রাখে।
প্রথমে জয়দেবপুর থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্তকালে গত ৫ আগস্ট পিবিআই অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানাধীন কামারিয়া সাকিনস্থ এলাকা হতে গ্রেফতার করে।