গণবাণী ডট কম:
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেছেন, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালটে। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ডিজিটাল যুগে আমরা ডিজিটালভাবে প্রচারের জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। বাছাইয়ের পরে প্রতীক বরাদ্ধের আগেই প্রার্থীরা ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারবে এবং জনগণের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে প্রচার করতে পারবে। আমরা এটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মতবিনিময় সভা শুরু হয়। প্রথমে ছবি তুলার পর গণমাধ্যম কর্মীদের সভাকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে রুদ্ধদ্বার মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, রিটার্নিং অফিসারগণ, সহকারী রিটার্নিং অফিসারগণ, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, র্যা ব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় প্রধান/প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর আরো বলেন, ইতিপূর্বে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন গুলো সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এটা শুধু গাজীপুরবাসী নয়, দেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে এটি স্বীকৃত। গত নির্বাচনে যে সমস্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা এই নির্বাচনেও এখানে কর্মরত আছেন। তাদের যে অভিজ্ঞতা আছে, সে অভিজ্ঞতার আলোকে এই নির্বাচনকে আরো সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে তারা যে সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, সেই পরিকল্পনা আমাকে জানিয়েছেন। সে সাথে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও আমাদের যে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা গুলো আছে সেগুলো বলেছি। তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তারা সকল রকম সহায়তা পাবে। কমিশনের পক্ষ থেকে আমি এগুলো তাদের বলেছি।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির ব্যাপারে কমিশনের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি এমনিতেই বেশি থাকে। এটা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন বিষয় থাকে না। আমরা দেখেছি, যে সব এলাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, সেসব এলাকায় ভোটার উপস্থিতি খুবই ভালো। কোন কোন ক্ষেত্রে আশি শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। গাজীপুরে আশা করছি, ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। কারণ প্রার্থীরা সবাই স্থানীয় পর্যায়ে থাকেন। তাদের ভোটারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকে। তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, তাছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য টিভিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচার করা হয়, ভোটাধিকার আপনার নাগরিক অধিকার। আমাদের ভোটাররা এখন যথেষ্ট সচেতন। প্রার্থীরা প্রচার করেন, আমরা প্রিজাটিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। গণমাধ্যমগুলোতে তারা নিয়মিত খবর দেখে, আপনাদের অনুষ্ঠান দেখে, এভাবেই প্রচার হয়ে যায়। আলাদাভাবে প্রচার করার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না।