গণবাণী ডট কম:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, ডাকঘরকেও ডিজিটাল করতেই হবে। ডাকের দিন শেষ হয়নি আরও বাড়ছে। আমাদের যে কাজটুকু করা দরকার সে কাজ করা হচ্ছে। একটা ধ্বংসস্তুপ থেকে ওঠে আসার জন্য একটু সময়ের দরকার। আমরা অবশ্যই ঘুরে দাড়াবো। ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর শহরে নির্মানাধীন প্রধান ডাকঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকান্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে । ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্খিত মানে উন্নীত হবে।
পরিদর্শনকালে পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সেবাষ্টিন রেমা, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরীন পারভীন, জিএমপির এডিসি রেজওয়ান আহমেদ, এসি রিপন চন্দ্র, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং ডাক অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রধান এ ডাক ভবনটি আগামি বছর জুন মাসে উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশে বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একই সাথে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করা হবে।