গণবাণী ডট কম:
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে দুদকের একটি মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান।
তাঁর নাম গাজী সালাহউদ্দিন (৬০)। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২১২ শেরশাহগলি রোডের বাসিন্দা। তিনি পটুয়াখালী জেলার আদালতপাড়ার নিরাল নিলয় মসজিদ মহল্লা এলাকার আজাহার উদ্দিনেরে ছেলে। তিনি দি ফার্মাস ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ক্রেডিট বিভাগের প্রধান ছিলেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ তার কয়েদী নাম্বার ছিল ৭৫৭৫/১
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো, আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজী সালাহউদ্দিনকে ২০২১ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত একটার দিকে তিনি অসুস্থরোধ করেন। পরে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় জরুরিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ৩টার দিকে গাজী সালাহউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, গাজী সালাউদ্দীন দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। ময়নাতদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কারাকার সূত্র জানায়, গত বছরের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এরমধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে ৪ বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঐ মামলাটিতে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ১০ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছর, অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এই ছয় আসামির প্রত্যেকের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।