গণবাণী ডট কম:
রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার দুর্গম বালুমুড়া মারমা পাড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহম্মেদ খান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যায় দুর্গম বালুমুড়ার মারমা পাড়ায় আঞ্চলিক দলের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাওয়া মাত্র এলাকার উদ্দেশে ফোর্স নিয়ে রওনা হয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত এলাকায় গিয়ে জানাতে পারবো।
এদিকে কোন কোন গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) গ্রুপের মধ্যে কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানায়, বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে রাজস্থলীর এক জঙ্গলের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এখনো এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মিঃ কবির। ঘটনার পর ঐ জঙ্গলে এবং আশেপাশের এলাকায় পুলিশ ও সেনা টহল বাড়ানো হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন স্থানীয় দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গত কয়েক মাস ধরেই এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছিল।
অক্টোবরের শেষ দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন রাজস্থলীর একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
অগাস্টের ১৯ তারিখে রাঙ্গামাটি রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল দলের উপরে একদিনে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। তাতে একজন সৈনিক নিহত হয়েছিলেন।
এরপর অগাস্টের ২৩ তারিখে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর টহলকৃত গাড়ির উপর একদল লোক গুলি চালায়।
পরে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি করলে সেখানে একজন নিহত হয়।