গণবাণী ডট কম:
দেশে বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের গতি প্রকৃতি স্পষ্ট না হলেও প্রায় সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার সকাল থেকে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন, অপরটি ঢাকা-ময়মনসিংহ-দেওয়ানগঞ্জ রুটের কমিউটার ট্রেন। আগে থেকেই ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া।
পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের সাধারণ ছুটির অংশ হিসাবে দেশে ট্রেন সার্ভিস ৬৮ দিন বন্ধ ছিল। গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হবার পর দুই দফায় ১৯টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়েছিল। পরে যাত্রী সঙ্কটের কারণে দুইটি ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়।
আজ থেকে যে ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।
এছাড়া এক জোড়া কমিউটার ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে চলছে।
রেল মহাপরিচালক শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে না এবং অর্ধেক আসন খালি রাখা হবে।
সচল ৩০টি ট্রেনের সব টিকিট পাঁচদিন আগে অনলাইনে ও অ্যাপে ছাড়া হবে। ট্রেন ছাড়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে দুই শতাংশ টিকিট সংরক্ষিত থাকবে রেলের কর্মীদের জন্য। করোনা পরিস্থিতি দূর না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দর, জয়দেবপুর এবং মুন্সিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেনে খাবার দেওয়া হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
স্টেশন কাউন্টারে টিকিট বিক্রিতে করোনার ঝুঁকি রয়েছে; এ যুক্তিতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে দিচ্ছে রেল। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ অনলাইন সুবিধার বাইরে। নিম্ন শ্রেণির টিকিটের ক্রেতা গরিব যাত্রীদের অনলাইন সুবিধা নেই। তাই করোনকালে শোভন শ্রেণির টিকিট অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। কিন্তু রেল অনলাইনেই ভরসা রাখছে।