গণবাণী ডট কম:
আলোচিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিগ্যসাবাদ শেষে পুনরায় আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকালে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো: আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলার মো: আবু সায়েম জানান, গত রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিএমপির গাছা থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে জিগ্যাসাবাদের জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগার-২ থেকে গাছা থানায় নিয়ে যায়। রিমান্ড শেষে আজ বিকালে পুনরায় তাকে এ কারাগারে ফেরত দিয়ে গেছে।
জিএমপির গাছা থানায় র্যা ব বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জিগ্যসাবাদের জন্য গত ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ আদোলতে রফিকুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। পরে বৃহস্পতিবার গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শুনানী শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তার আলোকে গত রবিবার তাকে জিগ্যাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হয়।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) নেত্রকোনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তারপর র্যা বের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপির গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পরে জিএমপির পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উক্ত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর এডাল্ট কনটেন্ট অশ্লীল পর্নো দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। একারণে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।