গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জন ও কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় ছিনতাইকালে দুইজনসহ মোট ৭ যুবককে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাসন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ শাহজালাল (২৭), মোঃ রিয়াজ (২২), মোঃ সবুজ (২৭), মোঃ আনিছুর রহমান ওরফে ইয়াবা সোহাগ (২৮) ও মোঃ আলী হোসেন (৪০) এবং কাশিমপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো রিপন (২৬)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাইমচরের রফিকের ছেলে ও রাজু (২৪)। তিনি নওগাঁ জেলার সাহাপুরের গোলাম হোসেনের ছেলে।
জিএমপি বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, রোববার ভোরে গোপন সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন আউটপাড়া এলাকায় কতিপয় সন্দেহভাজন যুবক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে বাসন থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি চাপাতি, ২টি চাকু, ১টি লোহার রড, প্লাস্টিকের রশি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযানকালে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পালিয়ে যায়। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী। এই সংক্রান্তে পুলিশ বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জিএমপি কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবূবে খোদা জানান, রুবেল মন্ডল মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করেন। তিনি ঈদের ছুটি কাটিয়ে রোববার ভোরে দেশের বাড়ী বগুড়া থেকে নিজের মোটর সাইকেল যোগে কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এসে পৌছান। তখন দুইজন ছিনতাইকারী অপর একটি মোটর সাইকেল চড়ে তার কাছে গিয়ে গলায় ক্ষুর ও কাঁচি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে উক্ত এলাকায় টহলে থাকা কাশিমপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উক্ত দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ক্ষুর ও কাঁচি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় রুবেল মন্ডল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আসামিদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানার মামলা রুজু করা হয়। পরে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।