গণবাণী ডট কম:
ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,বিশ্ব ইজতেমায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি মাওলানা জুবায়ের গ্রুপ ও আরেকটি মাওলানা সাদ গ্রুপ। এবার বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ও দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীরা অংশ নেবে। তারা দুটি গ্রুপ ইজতেমা করেছেন। তখন কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। আমার মনে হয় তাদের মধ্যে নতুন করে ভুল বোঝাবুঝি হবে না। তারা সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করবেন।
তিনি আরো বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশের সাইবার ইউনিট সহ র্যা ব, সেনাবাহিনী থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো আপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ইজতেমা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের গৃহিত ব্যবস্থা, বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়ল আসাদুর রহমান কিরণসহ বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও অধিদফতরের প্রতিনিধি, ইজতেমার দুই পর্বের আয়োজক উভয় গ্রুপের শীর্ষ মুরুব্বিরা অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য আগের মতোই সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এবার প্রথম পর্ব শেষে মেহমানদের হাজি ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে।
তবে প্রথম পর্ব শেষে জুবায়ের অনুসারীদের ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ছাড়তে বলা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো বিশ্ব ইজতেমায় সব ধরনের নিরাপত্তা থাকবে। তবে এবার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেন সাইবার ক্রাইমের কোনো ঝুঁকি না থাকে। সামরিক বাহিনী প্রতিবারের মতো তুরাগ নদে এবারও ব্রিজ নির্মাণ করছে।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। একইভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২২ জানুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
সভায় জানানো হয়, যোবায়ের অনুসারীদের আগামী ১৬ তারিখ সকাল ১১টার মধ্যে প্রশাসনের নিকট বুঝিয়ে দিয়ে ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করতে হবে।