গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুরে অটো চালানোর পাশাপাশি চুরি ছিল তার মূল পেশা। খুব চুতরতার সাথে চুরির কাজটি তিনি নিপূণভাবেই করে যাচ্ছিলেন। পর পর ১১টি বাড়ীতে চুরিও করে ফেলেন। কিন্তু বাধ সাধে ১২ নাম্বার বাড়ীতে চুরির ঘটনা। এখানে চুরির সিসি টিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর তিনি ধরা পড়েন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হাতে।
ধরা খাওয়ার পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। তাতে তিনি অটো চালানোর আড়ালে চুরি করতেন বলে কবুল করেছেন।
গ্রেফতারকৃত অটো চালকের নাম মোঃ রাকিব (২২)। তিনি নেত্রকোনা সদর থধানাধীন স্বল্পদোগিয়া এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিকের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়াচালা এলাকায় জনৈক সরোয়ারের বাড়ীতে ভাড়া থেকে প্রকাশ্যে অটো চালাতেন। আর গোপনে চুরি করতেন।
শনিবার বিকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অবইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিপিএম।
তিনি জানান, গত ২৬ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় নাজমুন্নাহার শিরিন (৪২) এর ভাড়া বাসায় চুরি সংঘটিত হয়। গৃহ বধু সকালে বাসায় তালা দিয়ে কাজে চলে যান। দুপুরে বাসায় ফিরে দেখতে পান তার বাসার দরজার তালা ভাঙ্গা। রুমের ভেতর প্রবেশ করে দেখেন রুমের ওয়ার্ড্রপ ও আলমারী খোলা। রুমের তালা খাটের উপরে পড়ে আছে এবং ওয়ার্ড্রপে থাকা ১৩ হাজার ৭শ টাকা ও ড্রয়িং রুমের পাশের রুমে থাকা ব্যবসার জন্য আনা ১টি অ্যাশ রংয়ের, ১টি সাদা রংয়ের ও ১টি জাম রংয়েরসহ মোট ০৩টি থ্রি পিছ ( মুল্য ৩ হাজার ৩শ টাকা) এবং দুইটি শাঁড়ী (মূল্য ২ হাজার টাকা) ও ১টি বেডশীট (মূল্য ১ হাজার ২শ টাকা) সহ মোট ২০ হাজার ২শ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে গৃহবধূ তার বাসার সিসি টিভি ফুটেজে দেখতে পান সকাল ১১টার দিকে একজন লোক বাসায় প্রবেশ করেছে সোয়া ১১টার দিকে একটি পলির শপিং ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, পরে এঘটনায় নাজমুন্নাহার শিরিন শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর পিবিআই, গাজীপুর জেলা স্ব-প্রনোদিত হয়ে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে তদন্তকালে রাকিবকে শনিবার ভোরে জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়াচালার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চুরি করে আনা নগদ ১৩ হাজার ৭শ টাকা ও ২টি শাড়ী উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতার আসামি মোঃ রাকিব নেত্রকোনায় গ্রামের বাড়িতেও একাধিক চুরি সাথে জড়িত ছিল। সে গাজীপুরে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে অটোরিক্সা চালাত পাশাপাশি বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি করত। সে জিজ্ঞাসাবাদে গাজীপুর এলাকায় আরো ১১টি বাড়িতে চুরি করেছে বলে স্বীকার করে। এ বিষয়ে আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।