গণবাণী ডট কম:
মহামারী করোনাকালে ঠিকমত বেতন না পেয়ে সহযোগীদের নিয়ে কারখানার মালামাল চুরি করে এক ইলেকট্রিশিয়ান। প্রায় দুই বছর পর ঘটনায় জড়িত ইলেকট্রিশিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতারের পর আসামী মঙ্গলবার সকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম, এস.এম আসাউল (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সাং-পশ্চিম দক্ষিণ ফিলিপনগরের মৃত আরজেদ আলী @ কালো পুলিশেল ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গোপালপুর এলাকার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ীতে ভাড়া থেকে গাছা থানাধীন কোনিয়া তারগাছ এলাকার স্টিচারস মেটিক্স লিঃ এ ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করতেন। তাকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পৌনে ১২টার দিকে মহানগরীর টংগী পূর্ব থানাধীন বিসিক এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিপিএম।
তিনি আরো জানান,মহামারী করোনাকালে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর রাতে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কোনিয়া তারগাছ এলাকার স্টিচারস মেটিক্স লিঃ এর কারখানায় চুরি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাত চোরেরা ফ্যাক্টরীর পিছনের পকেট গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ফ্যাক্টরীর নিচ তলায় কাটিং সেকশনে থাকা ১ হাজার ২৫৪ কেজি ফিনিস ফেব্রিক্স যার মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ ৫২ হাজার ৪ শত টাকা এবং সুয়িং মেশিন, বয়লার মেশিন পার্টস ও ইলেক্সট্রিক্স টুলস্ যার মূল্য ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে। কারখানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় অজ্ঞাতনামা চোরেরা নীল রং এর কাভার্ড পিকআপ গাড়ীতে করে এসব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ঐ কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আক্তারুল ইসলাম বাদী হয়ে পরেরদিন ১০ নভেম্বর মহানগরীর গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। গাছা থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মামলার রহস্য উদঘাটর করতে না পেরে চুড়ান্ত রিপোর্ট সত্য বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত স্ব-প্রনোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই গাজীপুর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো জানান,পিবিআই গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহসহ সকল তথ্য প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসামি এসএম আসাউল (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। গত ২০২১ সালে তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে ঐ কারখানায় চাকুরী করতেন। মহামারী করোনা চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ফ্যাক্টরীর বন্ধ থাকায় মালিকপক্ষ যথাসময়ে বেতন দিতে পারেনি। এ কারণে আসামী তার সহযোগী আসামীদের নিয়ে বেতনের পরিবর্তে ফ্যাক্টরীর মালামাল চুরির করার পরিকল্পনা করে। সে মতে গ্রেফতার আসামী তার সহযোগী আসামীদের নিয়ে একটি কাভার্ড পিকআপ নিয়ে কারখানার গেইটের তালা ভেঙ্গে ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ফ্যাক্টরী হতে মূল্যবান কাপড়সহ অন্যান্য মালামাল কাভার্ড পিকআপে ভর্তি করে নিয়ে যায়। পরে আসামীরা চোরাইকৃত মালামাল অন্যত্র বিক্রয় করে বিক্রিত টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করে পালিয়ে যায়।