গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানার ব্যারাক থেকে এক উপ পরিদর্শক (এসআই) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার ৬ তলার পুলিশ ব্যারাকের একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম মিল্টন কুন্ডু। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বুধপাশা বইঘের হাট এলাকার সুজিত চন্দ্র কুন্ডুর ছেলে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মিল্টন কুন্ডু গত ৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুবাইল থানা থেকে বদলি হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি অন্যমনস্ক হয়ে সব সময় নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রাখতেন। দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতেন না তিনি। মঙ্গলবার রাতে মিল্টন কুন্ডু উক্ত থানার ষষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলার তার নিজ শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, টঙ্গী পশ্চিম থানার ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী থানার অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ডিউটিতে চলে গেলেও মিল্টন কুন্ডু মঙ্গলবার রাতে ডিউটিতে যাননি। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তিনি থানার ৬ষ্ঠ তলায় তার ব্যারাকের কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার অন্য রুমমেটরা কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। এ সময় ভেতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে থানার পুলিশ সদস্যরা দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মিল্টন কুন্ডুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মিল্টন কুন্ডু গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে আমাদের থানায় যোগদান করেছেন। এখানে যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রায়ই অন্যমনস্ক হয়ে থাকতেন। সবার থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের (স্যারদের) জানানো হয়েছে। উনারা এসে যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।