গণবাণী ডট কম:
যুব এ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, খেলাধুলার চর্চা ও মানোন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়েও একটি করে খেলার মাঠ তৈরি করে দেয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাঠ স্থাপন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছি। উপজেলায় পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প’র কাজ শেষ হলেই ইউনিয়ন পর্যায়ে দু’টি গোলবারসহ একটি করে মাঠ তৈরির প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনের কাজ চলছে।
শনিবার সকালে গাজীপুর শহরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে জাতীয় যুব দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. হারুন অর রশীদ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আহমার উজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, সাবেক সদস্য মো. আব্দুল হাদী শামীম, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, গাজীপুরের সহকারি পরিচালক মো. মনছুরুল ইসলাম মিলন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষে প্রশিক্ষনের পাশাপাশি যুবযুবাদের কর্মসংস্থান ও এনআরবিসি’ ব্যাংকের মাধ্যমে ৫শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে চালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছিল না। বর্তমানে আমরা চালক প্রশিক্ষনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। বর্তমানে আমাদের উদ্যোগে ৪০হাজার চালক প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। দেশে জ্বালানী সংকট নিরসনে ৪০হাজার পরিবেশ বান্ধব বায়েগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করেছি। আরও ৩২ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
যুব ভাইবোনদের জন্য আমরা ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছি। ১৮টি জেলায় ফ্রি-ল্যান্সিং প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। আরো ৪৮টি জেলায় এ প্রকল্পের কাজ করা হবে। যার মাধ্যমে বিদেশে না গিয়ে ঘরে বসেই রেমিটেন্স/ডলার আয় করা সম্ভব। ৪৮টি জেলার জন্য ৩শ’ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, উপজেলা পর্যায়েও আমরা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। যেখানে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।পাশপাশি সেখানে চিত্তবিনোদনেরও ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের ইনডোর গেম ছাড়াও সিনেমা দেখার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে সাইবার সেন্টারও থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণের বাইরেও যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চাইবে তাদের জন্য সেই সুযোগ থাকবে।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র, সম্মানীভাতা, ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
মন্তব্য