গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গেল শনিবার রাতের ঝড়ো হাওয়া ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে বহু বাড়িঘর ও ফসলী জমি, মৌসুমী ফলের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সোমবার এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক। এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের নগদ টাকা ও ঢেউটিন অনুদান হিসাবে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবারের রাতের দুই দফা ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত বসত ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। এসময় ঘরের ভিতর বড় বড় শিলা পড়ার কারণে কেউ কেউ ঘরের চৌকি, আবার কেউ কেউ টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মৎস্য খামার, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম কালিয়াকৈর উপজেলায় বোয়ালী ইউনিয়নসহ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ।
জেলা প্রশাসক শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাড়ির মালিক এবং কৃষকদের সাথে কথা বলেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং তা যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্টিত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নগদ ৬ লক্ষ টাকা এবং ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ মঞ্জুর করেন।
গাজীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন বলেন, আমিও সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। প্রাথমিকভাবে কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৫০টি পরিবার ও বোয়ালী ইউনিয়নে ৫ শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা প্রণয়ণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ তালিকা করছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যাদের ঘরের চাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আকাশ দেখা যায়, এমন প্রতিটি পরিবারকে ঘরের চাল ঠিক করার জন্য দুই বান্ডেল ঢেউটিন ও ৩ হাজার করে নগদ টাকা প্রদান করব। রজত বিশ্বাস