গণবাণী ডট কম:
ক্যাসিনো কাণ্ডে অনেক নাটকীয়তার পর গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে বুকে ব্যথা অনুভব করলে দুদিন পর তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল কবীর চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুস্থ বোধ করায় সম্রাটকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে আনা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে ছিলেন সম্রাট। গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি সম্রাটকে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে রমনায় দায়ের করা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় তাকে ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে। হাসপাতালে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।