গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদকে (৩৯) অপহরণের একদিন পর অজ্ঞান অবস্থায় ২৩ অক্টোবর বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর বাসন থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যা ব) ১ । এ সময় দুই নারীসহ পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহৃত হারুন অর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ধুমিহায়াতাপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করেন এবং মহানগরীর বিলাশপুর এলাকায় ভাড়া বাসয় থাকেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার আজহার রহমানের ছেলে শাহীন আলম (৩০), শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার বেলাল কাজির ছেলে সোহেল (২৫), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৩), ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘুষগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা আক্তার বর্ষা (১৬) এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাস (১৯)। তাদের কাছ থেকে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, ছয়টি মোবাইল ও ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি লিখিত স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।
গত ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদকে শিববাড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাত ৭-৮জন অপরহরণকারী অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে মারধর ও হত্যার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সই নেয়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে হারুন অর রশীদের সন্ধান না পেয়ে মহানগর পুলিশের সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোবাইল ফোনে হারুনের স্ত্রীর কাছে হত্যার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। উপায়ান্তর না দেখে হারুনের স্ত্রী বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধ করেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী র্যা বের সহযোগিতা চান। র্যা ব অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাসন থানার নলজানি (পালের মাঠ) সংলগ্ন আবদুল আওয়ালের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং দুই নারীসহ ৫ অপহরণকারীকে আটক করে। এসময় অপহরণকারীদের হেফাজত থেকে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, ৬টি মোবাইল ফোন সেট ও তিনটি লিখিত স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা অপরহরণকারী চক্র এবং শাহীন আলম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করতো বলে র্যা বের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।