গণবাণী ডট কম:
জনসংখ্যা, স্টেশনের আয় ও গুরুত্ব বিবেচনায় জয়দেবপুর জংশনে সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, তুরাগ ট্রেনের বগি বৃদ্ধি ও নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত বগি, জয়দেবপুর রেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রীজ নির্মাণ, জয়দেবপুর জংশনে জন্য বরাদ্ধ ট্রেনের আসন বৃদ্ধি, জয়দেবপুর জংশনকে আধুনিকায়নসহ ১০ দফা দাবিতে জানিয়েছে গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি।
শনিবার সকালে নগরীর প্রকৌশলী ভবনে গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটিকে তেজগাও ও টঙ্গীতে স্টপেজ এবং ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাড়ার ব্যবস্থা করা, ঢাকা-গাজীপুর চলাচলকারী সকল ট্রেনের জন্য মাসিক টিকিটের ব্যবস্থা, টিকিট প্রাপইপ্ত সহজ ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি, ট্রেনের সময় সূচি নির্ধারণ ও আসন বন্টনের ক্ষেত্রে গাজীপুর যাত্রী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করা ইত্যাদি।
সংগঠনটির সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ সামসুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে ‘অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে রেলওয়ে পরিচারিত ট্রেনগুলিতে আসনবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বেসরকারিভাবে চালিত ট্রেনগুলি চলছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি যাত্রী নিয়ে। এতে সীমাহীন কষ্টে পড়েছে গাজীপুর থেকে ঢাকায় যাতায়তকারী নিয়মিত যাত্রীরা। তাই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প” না করে সেটিকে অতিরিক্ত যাত্রী ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহবুব মোর্শেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ উদ দৌলাহ, মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ গাজীপুর জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাস করে। শিল্পায়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং কর্মসংস্থান ও জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তরের সমান সংখ্যক যাত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও নয়টি আন্তঃনগর ট্রেন জয়দেবপুর জংশনে কোন স্টপেজ দেয়া হচ্ছে না। যদিও স্বল্প দূরত্বের অনেক স্টেশনেরই ষ্টপেজ দেয়া হচ্ছে। গাজীপুরে ট্রেনের ষ্টেপেজ না থাকা এবং চাহিদা অনুযায়ি টিকেটে না পাওয়ার কারণে গাজীপুরের যাত্রীদের এয়ারপোর্ট থেকে যাতায়ত করতে হয়। ফলে এয়ারপোর্ট-গাজীপুর যাওয়া-আসা সড়ক পথে বাড়তি যাত্রী চাপ সৃষ্টি করছে এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।