গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকায় এএসএম কেমিক্যাল নামের রাসায়নিক পণ্য তৈরির একটি কারখানায় গেল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে ডাম্পিং করার সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কারখানার ভিতর একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার একদিন পর আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরো দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্য হলো। তিনটি মৃতদেহই প্রায় কঙ্কাল ও বিকৃত হয়ে গেছে। তবে মৃতদেহগুলো শনাক্ত করেছে তাঁদের স্বজনরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আসিফুর রহমান কোনো শ্রমিক-কর্মচারী নিখোঁজ নেই বলে দাবি করেছিলেন।
অগ্নিকান্ডে নিহত ব্যক্তিরা হলেন শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আওয়ালপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারির ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৫০) ও কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তুলাতুলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৯)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলোর দৈহিক গঠন ও বিভিন্ন আলামত দেখে শনাক্ত করেছে স্বজনরা। এরপরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবদুর রউফ দাবি করেন, আর কেউ নিখোঁজ থাকার তথ্য নেই তাঁদের কাছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কেমিক্যাল প্ল্যান্টের বয়লার কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আগুন প্ল্যান্টজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর ভেতর রাসায়নিক পদার্থের অনেক ড্রাম ছিল।
তদন্ত কমিটি : অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থানা ও শিল্প পুলিশের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রয়েছেন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।