গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় প্রাইভেটকার ছিনতাইয়েল উদ্দেশ্যে চালক জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ৩ মাস পর জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর (জিএমপি) পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো; গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার এরশাদ নগরের মো; রুবেলের ছেলে রাব্বি হোসেন (২১) ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ থানা এলাকার ময়নারটেক বাসিন্দা শিপন হোসেন (২৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃতরা।
নিহত ব্যাক্তি হলেন, নেত্রকোনা জেলার হযরত আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) তিনি মহানগরীর গাছা থানাধীন মালেকের বাড়ি এলাকায় অবস্থিত এমাজিং ফ্যাশন লিঃ এর প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মো: জাকির হাসান এসব তথ্য জানান।
জাকির হাসান আরো জানান, গত ১ মার্চ রাতে জাহিদুল ইসলাম এমাজিং ফ্যাশন লিঃ এর কয়েকজন কর্মকর্তাকে ঢাকায় নামিয়ে দিয়ে গাজীপুর বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাছিমপুর পিপলস সিরামিক কারখানার সামনে প্রাইভেটকার থামিয়ে সড়কের পাশে প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া দিতে যায়। এসময় ৩/৪ জনের একদল ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ধরে জাহিদুল ইসলামের ডান পায়ের উরুতে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ঘটনাস্থলের পাশেই টঙ্গী পশ্চিম থানার টহলরত পুলিশ এবং পথচারী লোকজন আগাইয়া আসিলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পথচারী লোকজনের সহায়তায় জাহিদুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টঙ্গি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত তখন চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে জাহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় জাহিদুলের বড় ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ মামলা করেন।
এরপরে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার (২ জুন) রাত পৌণে ৯ টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর মহানগরীর দিঘীরপাড় এলাকা হতে আসামী শিপন (২৩) কে এবং এরশাদ নগর এলাকা থেকে আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে।