গণবাণী ডট কম:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম দুর্নীতির জন্য শুধু সরকারকে দায়ী না করে সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে সৎ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ( ২৫ জুলাই) সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা যদি ব্যক্তিগতভাবে সৎ না হই, তাহলে কোনো ভাবেই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির কথা যদি বলেন, আমি বলব দুর্নীতির দায় আমাদের সবার। আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে আঙুল তুলি, সেটা হবে সবচেয়ে বড় বোকামি। আমরা সবাই এই দুর্নীতির অংশ।’
করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে নানা কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর এই দায়িত্বে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন মহাপরিচালক সামনে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সামনে অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্যে এখন যে ব্যবস্থা, এই প্যানডেমিকের ক্ষেত্রে আমরা যে সমস্যাগুলো ফেইস করছি, তা দূর করার চেষ্টা করব।’
প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা যেন সম্মান ও ইজ্জত নিয়ে শেষ করতে পারেন, সেজন্য সবার দোয়াও চেয়েছেন অধ্যাপক খুরশীদ আলম। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করে দশম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ডা. খুরশীদ আলম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি কুমিল্লা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন। সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কিছুদিন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজেও কাজ করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি যোগ দেন ২০১৮ সালে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য ডা. খুরশীদ আলম বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৯৬১ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া খুরশীদ আলমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনার মাইজারখার ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামে। তবে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন কুমিল্লা শহরের ঝাউতলায়। তার বাবা মো. মমিনুল হক কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক ছিলেন। তার স্ত্রী ফাতেমা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে এক ছেলেও পেশায় চিকিৎসক, অন্যজন কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন।