গণবাণী ডট কম:
ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিসে আজ শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
মোমতাজ উদ্দিন আহমদ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দুই বার সদস্য ছিলেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন। মারা গেছে ভেবে প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জীবিত আছে বুঝতে পেরে তাকে ইমারজেন্সিতে আনা হয়। চিকিৎসকরা ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখে পুলিশ। দীর্ঘদিন পর মুক্তি পান।
মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্য বার রাজনৈতিক কারণে আহত, গ্রেপ্তার ও ডিটেনশনে কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটি মিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।
২০০২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় ডিটেনশন দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে বোমা হামলার মামলা দেওয়া।‘১/১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবী পেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন। বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এম এ আজিজকে অপসারণের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন।