নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আলোচিত রাজিব হত্যাকান্ডের ৭দিনের মাথায় মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সে গাজীপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী দিয়েছে।
গ্রেফতার আসামীর নাম মো. শাহীন ইসলাম (৩৪)। সে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানাধীন মধ্য চালাকচর এলাকার ডাকাত শহীদুল্লাহর ছেলে। সে ইতিপূর্বে একটি ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে এক বছর জেল খেটে জামিনে রয়েছে।
নিহত রাজিব (৩২) কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বরাইদ এলাকার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সুভাশ ধরের ছেলে। গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের সাফাইশ্রী এলাকার শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দির ও শ্রী শ্রী শিব মন্দিরের পশ্চিম পাশের কলা বাগান থেকে রাজিব ধরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।লাশ উদ্ধারের পরদিন ১৪ ডিসেম্বর নিহত রাজিবের মা প্রতিভা রাণী ধর অজ্ঞাত লোকদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসাইন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত রবিবার নরসিংদীর চরসিন্দুর বাজার থেকে শাহিনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন হত্যার দায় স্বীকার ও হত্যার কারণ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, পরে আজ সোমবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় শাহিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য গাজীপুরের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পরে সন্ধ্যায় সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দিয়েছে। মাদক ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে রাজিবের সাথে সমস্যা চলছিল। পরে শাহিনের ছোট ভাইয়ের সাথে নিহত রাজিব নেশা করতো। এসব বিষয় নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে খুনের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। শাহিনের দেয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার দেখানো মতে শীতলক্ষা নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী নামিয়েও হত্যায় ব্যবহৃত দা ও আলামত উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।