গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে ভাল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য এবং মানব পাচার মামলার মূল আসামী এক হোটেল মালিককে গ্রেফতার এবং মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতার হোটেল মালিক মোঃ জালাল (৩৬)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সনমানদি গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন হোসেন মার্কেট বেকারী বাড়ী (মামুন এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া)।
পরে জালাল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গাজীপুরের পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসবতথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গত ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন চেরাগআলী কাঁচা বাজার সংলগ্ন নিউ গোল্ডেন আবাসিক হোটেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় উঠতি বয়সী মেয়েদের ভাল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করার ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ হোটেল কর্মচারী ডালিমসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে এবং ০২ জন মেয়েকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই (নিঃ) শুভ মন্ডল বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে টংগী পূর্ব থানার মামলা নং-৬৯ তারিখ-২৫/০৪/২০১৯ ইং ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১২(১)/১৩ রুজু করেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দাখিল করে।
তিনি আরো জানান, বিজ্ঞ আদালত হোটেল মালিকসহ ঘটনার মূল হোতাদের চিহ্নিত না করে অভিযোগপত্র দাখিল করায় মামলাটি পুনরায় পিবিআই, গাজীপুর জেলাকে তদন্তভার অর্পণ করেন। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ)/ মোঃ সজিবুল হাসান মামলার ঘটনার সাথে জড়িত নিউ গোল্ডেন আবাসিক হোটেলের মালিক এবং মূলহোতাদের চিহ্নিত করার বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পিবিআই এর ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। গাজীপুরের পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিউ গোল্ডেন আবাসিক হোটেলের মালিক পলাতক আসামী মোঃ জালালকে গত ০৬ জানুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বাটার গেট থেকে গ্রেফতার পূর্বক পিবিআই, গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে হাজির করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জালাল মামলার ঘটনার বিষয়ে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক ৭ জানুয়ারি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করতঃ নিজেকে সহ জড়িত সকলের ভূমিকা বর্ননা করে। আসামী তার জবানবন্দিতে আরো প্রকাশ করে যে, সে এবং তার হোটেলের ষ্টাফগণ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মেয়েদের আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে আসে এবং অনৈতিক কাজ করাতো।
তিনি আরো জানান, ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।