গণবাণী ডট কম:
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে জম্মও কাশ্মীরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী বিপুল সংখ্যক রাজনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বলবৎ রয়েছে কারফিউ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের বিরোধী দলগুলোর একটি প্রতিনিধি দল শনিবার কাশ্মীর সফর করতে চেয়েছিলেন। তবে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে সেই প্রতিনিধি দলকে। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজে এক টুইটে বলা হয়েছে, সরকারের দাবি অনুযায়ী যদি কাশ্মীর পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয়, তবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলকে কেন শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো। মোদি সরকার সেখানে কি গোপন করতে চাইছে?
ভারতের বামপন্থি দল সিপিআইএমও কাশ্মীরে বিরোধীদের প্রবেশে বাঁধা প্রদানের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আটটি রাজনৈতিক দলের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের বাঁধাদানের ঘটনায় আমরা কঠোর নিন্দা জানাই। তারাও কংগ্রেসের একই ভাষায় প্রশ্ন রেখে বলেছে, যদি উপত্যকার অবস্থা সরকারের দাবি অনুযায়ী স্বাভাবিকই হয়, তবে জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দেখা করতে দেয়া হলো না কেন?
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে বামপন্থি সিপিআইএম ও সিপিআই, তামিলনাড়ুর ডিএমকে, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, কর্নাটক ও কেরালার জেডি-এস, রাজস্থানের আরজেডি ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। বিরোধীদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল গান্ধী ছাড়াও দলটির রাজ্যসভার প্রধান গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মা, সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝা, এনসিপির দিনেশ ত্রিবেদী প্রমুখ।