গণবাণী ডট কম:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে। খন্দকার মোস্তাক, জিয়াউর রহমানসহ আরো অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের একই মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কি কি দালিলিক প্রমাণ আছে, সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপ-কমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবী রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়।
মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের কালামপুর রোডে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগীতা করেছে, উচ্চ পদে পদায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আব্দুল আলিমসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রীসভা গঠন করেছিল। খন্দকার মোস্তাক, জিয়া-তারাতো শাস্তি পায়নি, মৃত্যু হলে কোন আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারো মৃত্যু হলে সে যদি আসামী থাকে তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেয়।
আকম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকান্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাক, মাহবুব আলম চাষীসহ এমন অনেকের নাম এসেছে, তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মঙ্গলবার শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপ-কমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ করিব, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নাম ফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।