গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরেক মামলায় জিগ্যাসাবাদের জন্য আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার পার্ট-২ থেকে তাকে জিগ্যাসাবাদের জন্য বাসন থানা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএমপির বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক।
জিএমপির বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক আরো জানান, এর আগে গেল বুধবার ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরো জানান, ’শিশু বক্তা’ খ্যাত রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় টেকনগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বাসন থানায় ১১ই এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ আদালতে রফিকুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বুধবার রিমান্ড শুনানীর দিন নির্ধারণ করেন। পরে বুধবার আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার ভার্চুয়ালী শুনানীর মাধমে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকালে মাদানীকে জিএমপির গাছা থানায় একই আইনে র্যাবের দায়ের করা এক মামলায় জিগ্যাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নেত্রকোনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তারপর র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপির গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পরে ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে (জিএমপি)‘র উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উক্ত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর এডাল্ট কনটেন্ট অশ্লীল পর্নো দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। একারণে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর থেকে তিনি প্রথমে গাজীপুর জেলা কারাগার ও পরে কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার পার্ট-২ এ বন্দি ছিলেন।