গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে তা ৫ মে পর্যন্ত কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী কাল প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ”এই সময় অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে শপিংমল রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে আগের যে সিদ্ধান্ত ছিল, সেটাই থাকবে।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব কিছু খোলা থাকার পরেও এভাবে বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করে কি লাভ হবে, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ আমলে নিয়ে সরকার আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।”
দেশে গত পাঁচই মে থেকে এক সপ্তাহের জন্য চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে বাংলাদেশের সরকার। পরবর্তীতে আরও দুই দফায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকার পরেও রোববার থেকে শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র গণপরিবহন, দূরপাল্লার যানবাহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ।
এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল।
দেশে গত ১০ দিনের মধ্যে অন্তত পাঁচদিন প্রতিদিন একশো জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হলেন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জন।