গণবাণী ডট কম :
চলমান সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী পরিবহণের অভিযোগে দূরপাল্লার ৯১টি যানবাহণের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়া এসব যানবাহণের মধ্যে ১০টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে দ্বিতীয় দিনের মত আজও কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় কর্মরত মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে ফেরত আসছেন। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গতকাল রবিবার বিকেল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে পুলিশের চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাজীপুর জেলার বাইরে থেকে আসা যানবাহন গুলো আটকে দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা রুজু করছে পুলিশ।
রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় যানবাহণের চাপ বেড়েছে। আজও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে দূরপাল্লার বাসযোগে অনেক যাত্রী ফেরার চেষ্টা করছে। এছাড়া মিনিবাস, প্রাইভেটকার ও হালকা যানবাহনে চড়েও শত শত যাত্রী কর্মস্থলে ফিরছেন। এসব যানবাহনে মানা হয়নি কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঈদ শেষে বিভিন্ন পরিবহণে যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরছেন। এ সমস্ত যাত্রী নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল। গেল রবিবার বিকেল থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ধরণের ৪৫টি বাসের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে আরো ১০টি গাড়িকে ড্যাম্পিং করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ির সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার ৪৬টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র না থাকায় চারটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে।