গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক পরিচালনায় কারো অনিয়ম ও গাফিলতি থাকলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি রবিবার বিকেলে সাফারি পার্ক পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, জেব্রা, বাঘ এবং সিংহ মৃত্যুর ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত আছে বা কারো ইন্ধনে এটা হয়েছে কী না তার সবই তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তে কেউ দায়ী হলে , কারো অবহেলা চিহ্নিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিকসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাফারি পার্কে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও কোন প্রাণি বেহাল দশায় থাকলে সরেজমিনে পরিদর্শন করার পর এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের, প্রকল্প বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের -আইএমইডি পরিদর্শন প্রতিবেদনে মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হলেও সেটার কোনও তদন্ত আজো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বিষয়টি তার জানা নেই উল্লেখ করে বলেন, এমনটি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বাঘ, জিরাফ ও জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় পার্কের লোকবল কম এবং ডাক্তার সংকটকে মূল সমস্যা বলে মনে করছেন পার্কের সাবেক প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার দে। পার্ক রক্ষার জন্য চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানসহ লোকবল বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
তপন কুমার দে বলেন, সাড়ে তিন হাজার একর জমি বিস্তৃত এই সাফারি পার্কে ২৮ জন নিয়মিত স্টাফ ও আউটসোর্সিং নিয়ে ৫০ জন লোকবল রয়েছে তা পার্ক পরিচালনায় যথেষ্ট নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় যদি ১৩৮টি পদের জন্য আমাদের পদায়নের সুযোগ দেয় তাহলে এ সঙ্কট নিরসন হবে এবং পার্ক দেখা শুনা সহজ হবে। আমাদের দক্ষ জনবল এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তার দরকার। এখানে তিনজন ডাক্তারের স্থলে একজন ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে। প্রাণি সুরক্ষায় ডাক্তার, টেকনিশিয়ান খুবই দরকার।