গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকায় নিজ ঘরের ভিতর থেকে গলায় পাগড়ি পেঁচানো অবস্থায় এক মাওলানার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতব্যক্তির নাম মুফতি হাফেজ মাওলানা আমজাদ হোসেন (৪৫)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পলাশপুর এলাকার মাওলানা আব্দুল আউয়ালের ছেলে। আমজাদ হোসেন গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হায়দ্রাবাদ এলাকায় স্ত্রী ও চার মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন এবং ঢাকার পল্টন এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হ্জ্ব যাত্রী পাঠানোর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আমজাদ হোসেনের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে স্থানীয় শিনশিন হাসপাতালে ভর্তি। তার চার মেয়ে কাপাসিয়ায় দাদার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। গেল রোববার রাতে আমজাদ হোসেন হারবাইদ এলাকায় তার বাসায় একা অবস্থান করছিলেন। সোমবার মোবাইল ফোনে কল করে আমজাদ হোসেনকে না পেয়ে তার মেয়েরা বাসার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পিতার খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে তার বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে কড়া নাড়লেও ভিতর থেকে কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে বাসার মালিক ও আশপাশের লোকজন ঘরের জানালা দিয়ে ভেতরে আমজাদ হোসেনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
জিএমপির পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ার সোমবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরের ভিতর মাথার পাগড়ি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আমজাদ হোসেনকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো জানান, এসময় ঘরের ভিতর একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে ট্রাভেল ব্যবসার টাকা নিয়ে এক ব্যক্তির কোছে পাওয়া কথা লেখা রয়েছে। এছাড়াও হ্জ্বযাত্রীদের কাগজপত্রের কিছু সমস্যার বিষয় জানা গেছে। এসব থেকে ধারণা হচ্ছে, ব্যবসায়ীক লেনদেন ও হজ্বযাত্রীদের কাগজপত্রের সমস্যা, স্ত্রী অসুস্থ এসব বিষয়ের কোন সমাধান দেখতে না পাওয়ায় হতাশায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি আরো জানান, তারপরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।