গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি পাঁচপীর মাজার এলাকায় একটি আম বাগান থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় এক মধ্যবয়সী নারীর গলাকাটা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত নারীর নাম মোসা: তাছলিমা খাতুন (৪৪)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালয়াঘাট থানার কোনাপাড়া এলাকার মো: ইদ্রিস আলীর মেয়ে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঐ নারীর পরিচয় শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মো: মাকসুদের রহমান।
এর আগে শনিবার সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি পাঁচপীর মাজার এলাকায় একটি আম বাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে এক মধ্যবয়সী নারীর গলাকাটা লাশেরশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো জানান, অজ্ঞাত পরিচয় নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে শনিবার সকালে গাজীপুর পিবিআই এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকালেই লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে সমস্যা থাকায় পরিচয় শনাক্ত করতে একটু সময় লেগেছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, শনিবার সকালে সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি পাঁচপীর মাজার এলাকায় একটি আম বাগানে আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী এক নারীর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও বলেন, কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, লাশের পরনে সবুজ ও হলুদ রঙ্গের মেক্সি জাতীয় পোশাক পড়া ছিল। লাশের পাশে একটি হাত ব্যাগ, অল্প কিছু দুরে পড়নের কালো রঙ্গের বোরকা ও রক্তমাখা একটি চাকু পাওয়া গেছে। লাশের হাতে চুড়ি ছিল। কিন্তু নিহত নারীর কোন কিছু খোয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, কোন প্রয়োজনে হয়ত নিহত নারীর কারো সাথে সেখানে দেখা করতে গিয়েছিল। পরে সেখানে কোন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার পর থেকে ১টার মধ্যে কোন সময় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।