গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল এলাকায় এক নারী পোশাককর্মীকে গলাকেটে হত্যার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত নারীর নাম আরজিনা এলাইচ লিজা (৩০)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার আনছার আলীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম মো: মাসুদ রানা। মাসুদ রানা একই থানা এলাকার সুপু মিয়ার ছেলে। তারা উভয়ে মহানগরীর বাইমাইলে এলাকায় জনৈক চান্দু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। সেখানেই রোববার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৪ টার দিকে হত্যাকান্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মো:মাসুদ রানা পেশায় রং মিস্ত্রী। স্ত্রী লিজা কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা নামের একটি তৈরী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। রোববার ভোর ৪টার দিকে চিৎকার ও গোঙানির শব্দে বাড়িওয়ালা ও আশপাশের লোকজন তাদের ভাড়া করা ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লিজাকে ছটফট করতে দেখে। পরে তারা দ্রুত লিজাকে উদ্ধার করে কোনাবাড়ির স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে লিজার শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক লিজাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীকে আর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, স্বামী রং মিস্ত্রি হলেও সে কোন কাজ করত না। পারিবারিক কলহের কারণে তাদের দুটি সন্তানকে টাঙ্গাইলে নানুর কাছে রেখেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিকারিক কলহের কারণে ভোরে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বজনরা আভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।