গাজীপুর প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যশস্যের ফলন বাড়াতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষিবিদদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, আমাদের নিজেদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতেও বাংলাদেশকে ঐতিহ্যগত শস্যের পাশাপাশি নতুন জাতের শস্য উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মেলাতে, আমরা ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স, মেশিন, ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের এই প্রযুক্তিগুলো কাজেও লাগাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরে পৌঁছান। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পৌছালে দুটি শিশু প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী হাসি মুখে শিশুদের কাছ থেকে ফুলের তোড়া গ্রহণ করেন। পরে তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সেখান থেকে হেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। তিনি কেন্দ্রটি ঘুরে ব্রির বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উদভাবন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, অনেক ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শিখে মাঠে যেতে চায় না। এমনকি বাবা কৃষক সেটা বলতেও লজ্জা পেতো। আজকে কিন্তু সেই লজ্জাটা আর নাই। সে লজ্জাটা আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। করোনাকালীন সময়ে যখন আমাদের কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না ধান কাটতে। আমি যখন আমাদের ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনের সকল ছেলে-মেয়েকে নির্দেশ দিলাম তোমরা মাঠে যাও, ধান কাটো কৃষকের পাশে। তারা কিন্তু ধান কেটেছে। অর্থাৎ যেটা খেয়ে তোমাদের জীবন বাঁচবে, সেই কাজ করাটা লজ্জার না গর্বের। সেই কাজ করাটা গর্বের, সেই মানসিকতাটাও চেঞ্চ করা একান্ত প্রয়োজন ছিল। আজকে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের যুব সমাজকে আরও সম্পৃক্ত করার দরকার। আমার মনে হয় স্কুল জীবন থেকে সম্পৃক্ত করার দরকার। মাঠে কাজ করা বা ফসল ফলানো এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, লজ্জার বিষয় নয়। সেই ভাবেই আমাদের দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরতে বহুমুখী গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে সহযোগিতার লক্ষ্যে কানাডার সাচকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির সাথে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ব্রি-তে এই কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়।
যদিও প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যশস্য উৎপাদনেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেনি, বরং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যও উৎপান করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুদ্ধে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, তাই তাঁর সরকার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে এটাই চিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকদের সুবিধার জন্য ২৫বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করে দেন, পাকিস্তানের আমলে দেয়া ১০লক্ষ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকদের মুক্ত করে দেন। ভুমিহীনদের মাঝে খাস জমি বিতরণ করা শুরু করেন, গৃহহীনদের জন্য ঘর বাড়ি তৈরি করা শুরু করেন এবং বাজেটে কৃষিকে সব থেকে তিনি বেশি অবদান রাখেন এবং সেই সাথে সাথে বিদেশ থেকে সেচের ব্যবস্থা করার জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় করার শুরু করে কৃষিকে যান্ত্রিকী করণ করার পরিকল্পনাও তিনি হাতে নেন, কৃষি উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্য উন্নতমানের বীজ উৎপাদন ও বীজ বিতরণ করা শুরু করেন। তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন এবং এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খাদ্য নিরাপত্তা ও ধান উৎপাদনের গুরুত্ব কে বেশি প্রধান্য দেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দুনিয়া ভরে চেষ্টা করেও আমি চাউল কিনতে পারছি না যদি চাউল কিনতে হয় তাহলে আপনাদের চাউল পয়দা করে খেতে হবে। আপনারা জানেন, ১৯৭৪সালে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। নগদ অর্থ দিয়ে কেনার খাদ্য বাংলাদেশের প্রবেশ হয় নাই। কৃত্রিম ভাবে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন আমাদের খাদ্য আমরা উৎপাদন করবো। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এটাকে আইন করে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গবেষণার উপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমি এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সামসুন্নাহার, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর অনেক বিদেশী সাংবাদিক জাতির পিতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, যে আপনার তো কোন সম্পদ নেই, রিজার্ভে টাকা নেই, কারেন্সি নোট নাই, সব কিছু বিধ্বস্ত, আপনি কি দিয়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন? তিনি একটা কথাই বলেছিলেন, আমার মাটি আছে মানুষ আছে এই আমি মাটি-মানুষ দিয়েই বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন তখনকার মানুষের যতটুকু চাহিদা মেটানো তার ব্যবস্থা তিনি করতে পেরেছিলেন, ১৯৭৫ সালে সব থেকে বেশি ফসল উৎপাদন হয়েছিল বাংলাদেশে, প্রবৃদ্ধি ৯ভাগের উপরে উঠেছিল। দুভার্গ্যরে বিষয় ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারনা আলাদা ছিল। বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে এটা তারা চায়নি। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করতে চেয়েছিল। তাই ৯৬ সালে ২১বছর পর আওয়ামীলীগ যখন সরকার গঠন করে তখন আমরা কি পেয়েছিলাম, ৪০লক্ষ মেট্টিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল বাংলাদেশে। খাদ্যের জন্য হাহাকার ছিল, উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সবসময় মঙ্গা লেগেই থাকতো। মানুষের পেটে খাবার ছিল না, শরীর হাড় এবং চামড়া ছাড়া কোন মাংস ছিল না, এটা আমার নিজের চোখে দেখা। ৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে যখন সমস্ত বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াই তখন মানুষের দুরবস্থা আমি নিজে দেখি। কাজেই আমাদেরও উদ্যোগ ছিল, এদেশের মানুষের জন্য খাদ্যের উপর বেশি কাজ করতে হবে। তাই ৯৬ সালে আমরা নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ১৯৯৬ প্রদান করি এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আমরা হাতে নিই। কৃষকদের সব ধরণের প্রণোদনা দেই, এমনকি বর্গাচাষীদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ বিতরণও আমরা শুরু করেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, এই বাংলাদেশে সার চাইতে গিয়ে কৃষকদের গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। ১৮জন কৃষককে বিএনপি সরকার গুলি করে মেরেছিল। তাদের অপরাধটা কি, তারা সার চেয়েছিল। বিদ্যুতের দাবি করতে যেয়ে ৯জন মানুষ গুলি খেয়ে মারা যায়। শ্রমিকরা ন্যায্য মুজুরির আন্দোলন করতে যেয়ে ১৭জন শ্রমিককে রমজান মাসে নির্মম মাসে হত্যা করা হয়। কাজেই আমরা সেই সমস্ত জায়গায় ছুটে গিয়েছিলাম, তখন থেকেই প্রতিজ্ঞা ছিল, কৃষককে সারের পেছনে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের দোড় গোড়ায় পৌঁছে যাবে। আর সেই ব্যবস্থা আমরা ২০০৯ সালে সরকারে এসে গ্রহণ করি।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের আরও বলেন, ১৯৯৬সালে ক্ষমতায় এসে দেখলাম, গবেষনার জন্য আলাদা কোন অর্থ বরাদ্দ নেই, নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে যে যেভাবে যেটুকু টাকা সেটাই গবেষণা করা হয়। ওই গবেষনা দিয়ে তো আমরা সামনে এগুতে পারবো না, জুন মাসে সরকার গঠন করে গবেষণার জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কারণ আমি সবসময়ই মনে করি গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষতা সাধন করা যায় না। আমরা কৃষি নির্ভর দেশ, আমরা কৃষির উপরে কৃষির গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান সেগুলো গবেষণাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। কৃষি যান্ত্রিকী করণের কথা স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা সবসময় বলে গেছেন এবং ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। আজকে আমরা সে ব্যপারে যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছি, ইতিমধ্যে আমরা যান্ত্রিকী করনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি, উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৭০ভাগ আমরা ভর্তুকি দিই অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫০ভাগ ভর্তুকি দিই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাবো না। ৯৮সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। তখন অনেকেই বলেছিল বাংলাদেশের ২ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। একদিকে আমরা যেমন বন্যা সামাল দিয়েছি, হাতে রুটি তৈরি করে প্রত্যেকটি জায়গায় মানুষের খাবার পৌছে দিয়েছি, স্যালাইন তৈরি করে মানুষকে পৌঁছে দিয়েছি, পানি বিশুদ্ধ করে মানুষকে পৌঁছে দিয়েছি, সাথে সাথে আমরা আরেকটা কাজ করেছিলাম আমাদের যেসব জায়গায় বন্যা হয়নি, সেখানে আমরা বীজ এবং সার দিয়ে এমনকি ক্যান্টনমেন্ট থেকে শুরু সমস্ত জায়গায় আমরা বীজ তলা তৈরি করার ব্যবস্থা নিই। পানি নামার সাথে সাথে এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার করে সেই বীজ তলা, সার এবং নগদ টাকা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কাছে পৌছে দেই। যার ফলে ৯৮সালের বন্যার পরই আমরা কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করি। দুঃখের সাথে বলে যাই, আমরা পার্লামেন্টে যেদিন ঘোষণা দিলাম বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, আমাদের বিপক্ষে ছিল খালেদা জিয়া এবং বিএনপি। তাদের পক্ষ থেকে সাথে সাথে উঠে বলা হলো খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশ কি সারা জীবন ভিক্ষা চেয়ে চলবে আর বিদেশের উপর নির্ভর করে চলবে? কেন চলবো আমরা।