গণবাণী ডটকম:
২৪ বছর আগের একটি দ্শ্যৃ এখনও চোখে ভাসে ভারত
বাসীর। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লন্ডনের লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি খুলে হাওয়ায় ভাসাচ্ছেন এক ক্রিকেটার। পাশে রাহুল দ্রাবিড়-হরভজন সিংরা মেতে ওঠেছে আনন্দে। এই দৃশ্য নিছক কেবল আনন্দ প্রকাশ নয়। ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের মাইলফলক। ছিল আধিপত্যবাদী ব্রিটিশদের মাটিতে দাঁড়িয়ে জাত্যাভিমানি বৃটিশদের জবাব দেওয়া। আর এসব কেবল সম্ভব হয়েছিল ঐ জার্সি খুলে নগ্ন শরীর দেখিয়ে দেওয়া সৌরভ গাঙ্গুলির কারণে। তার অধীনে টিম ইন্ডিয়া জিততে শিখে বিদেশের মাটিতে।
সৌরভকে ভারতের আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম রূপকার বললে অত্যুক্তি হবে না। তার হাত ধরেই টিম ইন্ডিয়া টেস্ট-ওয়ানডেতে দেশে-বিদেশে সফলতা পেতে শুরু করে। হয়ে ওঠে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি। বর্তমানে মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলিরা সাফল্য পাচ্ছেন ঠিক। তবে এসবের মূল কারিগরই ছিলেন গাঙ্গুলি।
সোমবার (০৮ জুলাই) ভারতীয় ক্রিকেটের সেই ধ্রুবতারার জন্মদিন। ৪৭ বছরে পা দিয়েছেন কলকাতার যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলি। ১৯৭২ সালের এই দিনে কলকাতার বেহালায় এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলার যুবরাজ পরে হয়ে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মহারাজ’। গাঙ্গুলি কেবল কলকাতার বাঙালিদের কাছে ‘দাদা’ নন। বীরেন্দ্র শেওয়াগ, হরভজন সিং, মোহাম্মদ কাইফদের মতো তারকারাও ‘দাদা’ বলতে অজ্ঞান।
অবশ্য নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটা একদম ভাল ছিল না সৌরভের। ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৩ রান। এরপর টানা চার বছর দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ফিরেই নিজের জাত চেনান সৌরভ। একই বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় তার।
২০০০ সালে যখন ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট তোলপাড় তখন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন সৌরভ। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিতে ভারত। ২০০০ সালের আইসিসি নকআউট ট্রফিতে দলকে তিনি ফাইনালে তুলেন। আর ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ভারত।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন সৌরভ। ৩১১ ম্যাচে তার রান ১১৩৬৩। বল হাতে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। টেস্ট ১১৩ ম্যাচে করেছেন ৭২১২ রান। নামের পাশে আছে ৩২ উইকেট।