গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় পারিবারীক কলহের জের ধরে সৎভাই দাহ্য পদার্থ পেট্রোল/অকটেন শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে নানীসহ সৎ ভোন দ্বগ্ধ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
দ্বগ্ধরা হলো, সানজিদা আক্তার (১৩)। তিনি গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার নানী মোসাঃ বেবি বেগম (৫৫)। তিনি ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার কান্ডপাশা গ্রামের ইউনুস তালুকদারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, সানজিদা আক্তারের সৎ ভাই মোঃ শুভ মিয়াদের সাথে পারিবারীকে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে সদর উপজেলাধীন শিরিরচালা হাজি নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমি স্কুল থেকে নিজ বাসায় ফিরছিল। পথে শিরিরচালা পশ্চিম পাড়া সাকিনস্থ মোঃ শাহ জাহানের বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে কাঠাল বাগানে পৌছালে মোঃ শুভ মিয়া ও তার ভগ্নিপতি সাব্বির তাদের পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাহ্য পদার্থ (পেট্রোল/অকটেন) তাদের শরীরে ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে । পরে স্বজনেরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিকচিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিটিউটে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্বগ্ধ অবস্থায় দুজন রোগী আসছিল। তাদের মধ্যে সানজিদা আক্তার ৩৫ ভাগ এবং বেবি বেগম ৪০ ভাগ শরীরের বিভিন্ন অংশ দ্বগ্ধ হয়েছে। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোন তরল দাহ্য পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পারিবরীক কলহের কারণে সৎভাই মোঃ শুভ মিয়া ও তার ভগ্নিপতি সাব্বির তরল দাহ্য পদার্থ সানজিদা ও তার নানীর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তারা দ্বগ্ধ হয়েছে। তাদের গাজীপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।