গণবাণী ডট কম:
গৌরব ও ঐতিহ্যে বিচার বিভাগ, গাজীপুর এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুরে বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে গাজীপুরের বিচার বিভাগের বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবি, প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বিচারিক কাজের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।
শনিবার সকালে গাজীপুর জজকোর্ট সভা কক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম ।
এতে সম্মেলনের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে গাজীপুরের বিচার কার্যক্রমের তথ্য বিবরণী তুলে ধরেন- সহকারি জজ মোসাম্মৎ শাহাজাদী তাহমিদা। সম্মেলনে দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা সমুহ উত্তরণের উপায় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নাজমুন নাহার। যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালতের বিচারক ইয়াসমিন আরা ফৌজধারী মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন ও সংশ্লিষ্টদের করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে ফৌজধারী মামলা তদন্তকারি সংস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং সংশোধনের উপায় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নূর।
দিনব্যাপি বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনায় অংশ নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম শামীমা আফরোজ, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জিয়াউল ইসলাম, গাজীপুর চীফ জুপিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা: খায়রুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নন্দিতা মালাকার, সরকারী কৌশুলী এডঃ মোঃ আমজাদ হোসেন বাবুল, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান সরকার প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তাগণ বলেন, অনেক সরকারী কর্মকর্তা একাধিক কর্মস্থল পরিবর্তন, মামলার সঠিক প্রতিবেদন ও সাক্ষীর কারণে, মামলার আলামত আদালতে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা না হলে মামলা বিচার কাজ বিলন্ব হয়। বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার গুলোকে বিশ্লেষণ করে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হয়। সঠিক ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলে সমাজে একটি ম্যাসেজ যায়, ফলে অপরাধীরা সর্তক হয়। সাধারণ নাগরিকগণ উপকৃত হন, ফলে অপরাধ প্রবণতা সমাজে কমে যাবে। মানুষ তার স্বাধীন চিন্তা শক্তিতে সমাজকে গতিশীল করবে।
সম্মেলনে দুনীতি দমন কমিশন, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, গণপুত বিভাগ, বনবিভাগ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।