গণবাণী ডট কম:
আপোষ করেননি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান নানা বিতর্ক, সমালোচনা আর অভিযোগের মুখে অবশেষে পদ হারাতে হলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংগঠনের প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংগঠনটির প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের বিষয়টি আলোচনায় উঠলে উক্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয় এবং প্রথম সহ-সভাপতিকে (জয়) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদককে (লেখক) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে একথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি ঠিক থাকবে। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এখন তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হবে। তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জ্যেষ্ঠ য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
সেদিন রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। তারপর দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও প্রায় ১০ মাস পর ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্রলীগের একটি অংশ। পদবঞ্চিতরা সেসময় অনশন করে। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হন।