গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মামলার আসামি ধরতে গেয়ে হামলার শিকার হয়েছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আসামি ও তার স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ পুলিশ সদস্যকে আহত করে ও পুলিশের ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
গেল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী।
তিনি আরো জানান, আসামী ও তার স্বজনদের হামলায় এ ঘটনায় আহত উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই ) মো. সাব্বির হায়দার শুভ বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পলাতক আসামি মোক্তারপুরের ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ (৪০)। তিনি কালীগঞ্জ থানার ১২ (১২) ২৩ নম্বর মামলার প্রধান আসামি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫০) ও মেয়ে হাফসা আক্তার (১৮)। তারা মূল আসামি আরিফুল হকের মা ও বোন। হামলার শিকার আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই ) সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল মামুন, সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই ) সুলতান মাহমুদ ও কনস্টেবল নাইমুর রহমান। এদের মধ্যে সাব্বির, শামীম ও সুলতান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও কনস্টেবল নাইমুর রহমানের অবস্থা গুরুতর। তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জ থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফ। আরিফ বাড়িতে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে উপজেলার ডেমরা গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে বাঁধা দেয় তার পরিবারের সদস্যরা। আরিফের পরিবারের সদস্যদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামি আরিফ। ওয়ারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এরপর থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পুনরায় আরিফকে গ্রেপ্তারের অভিযানে নামে পুলিশ। সে সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামি পক্ষ পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া হামলার শিকার এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল মামুন ও এএসআই সুলতান মাহমুদ সামান্য আহত হয়েছে। ঘটনার সময় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ফাতেমা বেগম ও বোন হাফসাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পলাতক বাকি আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
মন্তব্য