মো: আনিসুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি মঙ্গলবার দিনভর নির্বাচনী এলাকায় জনসাধারণ ও নেতাদের সাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। তিনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের এগারোটি স্থানে উপস্থিত হয়ে সকলের সাথে মিলেমিলে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করেন।
নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে এলাকায় সর্বসাধারণ ও দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন। প্রথমে সিংহশ্রী ইউনিয়নের ঝাওয়াদী চৌরাস্তা বেলা সাড়ে এগারোটায় টোক ইউনিয়নের উজুলী দিঘীর পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বেলা সাড়ে বারোটায় বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুরে বিকাল তিনটায় ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে। পরে বিকাল চারটায় সনমানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসে পাঁচটায় কড়িহাতা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সন্ধ্যা ছয়টায় তরগাঁও ইউনিয়নের লতাপাতা বাজারের ও সাতটায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারে। তারপর কাপাসিয়া সদরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এবং সবশেষে রাত আটটায় চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ফুল, ফুলের মালা, তোড়ন হাতে রিমির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা অনেকে ফুল ছিটিয়ে দিয়ে, অনেক নারী আবেগে রিমিকে জড়িয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। এসময় রিমিও স্বভাব সূলভ হাসি দিয়ে সকলের ভালোবাসার জবাব দেন।
এ উপলক্ষে উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় সিমিন হোসেন রিমি বলেন, মানুষ সত্যের পক্ষে, মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে, আজ কাপাসিয়ার মানুষটা সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাজউদ্দীন আহমদের যে সততা এবং আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করেছি, সে আদর্শ ও কাজের প্রতি কাপাসিয়ার মানুষ সমর্থন দিয়েছে ভোটের মাধ্যমে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট ও উন্নত কাপাসিয়া গড়ার লক্ষ্যে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। সেই জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাই। এক মিনিট বসে থাকলে চলবেনা। স্মার্ট কাপাসিয়া গড়ার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই বিজয়ের জন্য তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা ওই মানুষদের সম্বন্ধে জানেন না, যারা দিনের বেলায় আপনার পাশে থাকবে এবং রাতের বেলা ষড়যন্ত্র করবে। তারা হচ্ছে মোনাফেক। আমরা যেন সেই মোনাফিকদের কারণে যারা আমাদের জন্য কাজ করে তারা যেন পিছনে না পরে যায়। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু তা করতে হবে দলাদলি মারামারি না করে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে ছাকনি পদ্ধতি ব্যবহার করে। ছাকনি দিয়ে যেভাবে ভালো মন্দ আলাদা করা যায় সেই ভাবে। ভালোদেরকে সাথে নিব, অন্যদের আলাদা করে দিব। তবে দূরে সরিয়ে দিব না। আমরা কেউ তাদেরকে হেয় করব না। ভালো আর মন্দকে এক করে ফেলা যাবে না। আমাদের বুঝতে হবে, কে ভালো আর কে মন্দ। ভালোকে ভালো বলতে হবে, আর মন্দকে মন্দ বলতে হবে। এই জন্যে আমি নতুন নেতৃত্ব নতুন মানুষদের বেশি গুরুত্ব দিব। এরাই আমাদের নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে। আর তা আপনারা সুন্দরভাবে মেনে চলবেন।
বিজয়ের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করার এসব আনন্দ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিমসহ দলীয় নেতাকর্মীগণ।