গণবাণী ডট কম:
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দেশ বিদেশের লাখো মুসুল্লীরা সকল বাধা ও শংকাকে পেছনে ফেলে বাস, ট্রাক, কার, পিকআপ ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসে পৌছেছেন। তারা কাঁধে-পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ইজতেমাস্থলে এসে নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকেই মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে ইজতেমা মাঠের আশে পাশের সড়কে ও ফুটপাথে অবস্থান নিয়েছেন। মুসুল্লীদের পদচারণায় ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশ এখন মুখরিত। ময়দানের ভিতরে চলছে বয়ান জিকির তালিম আর মাশোআরা। বৃহস্পতিবার বাদ আছর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তবে, এবারেও ইজতেমায় বিশ্ব তাবলীগের আমীর মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুই গ্রুপ পর্যায়ক্রমে দুই পর্বে ইজতেমার ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী ও দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমায় অংশ নিবেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
তাবলিগের মুরুব্বীগণ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে বিশ্ব ইজতেমার মুসুল্লীদের সেবার জন্য ইজতেমা ময়দানের সুবিশাল প্যান্ডেলের ভিতর প্রায় ৯ হাজার খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, মুকাব্বির মঞ্চ, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা, পাহারা ও এস্তেকবালের জামাত তৈরি, হালকা নম্বর বসানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ৮ হাজারের অধিক সদস্য দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার ১৬০ একর আয়তনের সুবিশাল প্যান্ডেলের কোথাও ঠাঁই নেই। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা ময়দান। মুসুল্লীদের পদচারণায় ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশ এখন মুখুরিত। ময়দানের ভিতরে চলছে বয়ান, জিকির, তালিম আর মাশোআরা। ময়দানের ভিতরে জেলা ভিত্তিক খিত্তা অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানে সমবেত মুসুল্লিগণ কেউ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। অনেকে নিজ নিজ দলের আমীরের দেওয়া দীনের বয়ান শুনছেন। নিজ দলের আমীরের মাধ্যমে ইজতেমার যাবতীয় ইমান, আদব, আখলাক ও শৃংখলা নিয়ে কথা বলছেন। ইজতেমায় তাদের দলের সদস্যদের কার কী কাজ, কে কী দায়িত্ব পালন করবে তা ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজক মাওলানা জোবায়েরপন্থি অংশ।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সর্ববৃহৎ জুম্মার নামাজ। এতে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামাতে শরিক হয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ বৃহৎ জুম্মার নামাজে শরিক হবেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে ইমামতি করবেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুস্ঠানিকতা শুরু হলেও একদিন আগেই মুসুল্লীর অংশ গ্রহণে ময়দান পূর্ণ হয়ে যাওয়া বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বয়ান। বুধবার মুল মঞ্চ থেকে সকালে বয়ান করেছেন ভারতের মাওলানা আহমেদ লাট সাহেব। তার বয়ান বাংলা তর্জমা করেছেন বাংলাদেশেল মাওলানা ওমর ফারুক। বাদ জোহর বয়ান করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক সাহেব (দা:বা:) এবং বাদ আছর বাংলাদেশের মাওলানা মাওলানা ফারুক সাহেব (দা:বা:)। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মালানা মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব (দা:বা:)।
শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে বয়ান করবেন মাওলানা আহম্মেদ বাটলা, সকাল দশটার দিকে তালিম করবেন মাওলানা জিয়াউল হক, আর জুমার নামাজে ইমামতি করবেন বাংলাদেশের মাওলানা যোবায়ের। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের খতিব ওমর, বাদ আছর মাওলানা যোবায়ের ও মাগরিবের পর মাওলানা আহম্মেদ লাট বয়ান করবেন।
ইজতেমায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিশ্বের ৩৬ দেশের ৭৫৯ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মুসল্লিও ইজতেমাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বিদেশি খিত্তার সামনে দায়িত্বরত টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্দান ও যুক্তরাজ্য থেকে বিদেশী মেহমানরা এসেছেন। তিনি বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইজতেমা প্রশাসন। তাদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি খিত্তার পাশে পুলিশ ও র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপনিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ইজতেমায় আসা বিদেশি মেহমানদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও ভ্রমণের ওপর। টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসুল্লিদেরকে বিনামূল্যে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক ১০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি, বে-সরকারি পর্যায়ে অর্ধশতাধিক ফ্রি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারী বর্জ্য অপসারণ ও পয়:প্রণালি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের জন্য ১০টি গভীর নলকূপ থেকে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও ওজু-গোসলখানা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে কঞ্জাভেঞ্চি টিম প্রস্তুত রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় পুলিশ, র্যা ব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ৮ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা টহল শুরু হয়েছে। ইজতেমা নিয়ে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং করেছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কে, কখন, কোথায়, কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত রয়েছ। সাইবার মনিটরিং ও সাইবার প্যাট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়দানের নিরাপত্তায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ক্রাইম সিন, প্রশিক্ষক টিমসহ নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহলের ব্যবস্থা থাকবে। পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা থাকবে। পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা থাকবেন। ইজতেমা ময়দানে অগ্নি নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও ফায়ার ফাইটার টিমও মোতায়েন করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহ্ম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের সেবা ও নিরাপত্তায় সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ময়দানের আশপাশে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। বিদেশী মেহমানদের জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, ইজতেমা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হবে।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসুল্লীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহের লক্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও ময়দান সংলগ্ন কামারপাড়া সড়কের উত্তর পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে আসেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি। তিনি ইজতেমার বিদেশি খিত্তা পরিদর্শন করেন ও বিদেশি মেহমানদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে তিনি ময়দানের উত্তর পাশে স্থাপিত হামদর্দের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। পরে তিনি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্রে সাংবাদিকেদের সাথে কথা বলেন।
এসময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্ব ইজতেমা পৃথিবীর অন্য দেশে হয়নি, বাংলাদেশে হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার জন্য আল্লাহ বাংলাদেশকে কবুল করেছেন, তাই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমার দুটি পর্ব সমাপ্ত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা বিশ্ব ইজতেমার দুপক্ষ এক হয়ে যাক।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মুসল্লিদের সেবা ও নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যা বসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর নিয়োজিত আছে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. বসিরুল আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বিশ্ব ইজতেমার যোবায়ের অংশের প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান,সমন্বয়কারী আবুল হাসনাত প্রমুখ।
এদিকে, ইজতেমা ময়দানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ায় মুসুল্লীরা সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েন। মাথার ওপরে সালার চট দিয়ে সামিয়ানা টাঙ্গানো হয়েছে। অনেক স্থানে সেটিও এবার নেই। ফলে বৃষ্টির পানি চট গলিয়ে নীচে নেমে আসায় এবং খোলা স্থানে অবস্থান নেয়া মুসুল্লীদের সামানা (সাথে আনা কাপড়, বিছানাপত্র), তাদের ব্যাগ অন্যান্য জিনিসপত্র গেছে। বৃষ্টিতে সাথীদের পরিহিত কাপড় চোপর ভিজে যাওয়ায় এবং কন কনে ঠান্ডা বাতাস তাদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা থেকে ৩৪জনের জামাত নিয়ে নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নেন জাকির হোসেন।পূর্বে কোন ঘোষনা না থাকায় সামিয়ানা না নিয়ে আসায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
তিন চিল্লার (৪মাস) সাথীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়দানের ৮১নং খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন বাচ্চু মিয়া। তারা নরসিংদী জেলায় এক চিল্লা শেষে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। ২৩জন সাথী নিয়ে ময়দানে এসে নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিলেও সামিয়ানা না থাকায় পরে পাশের খিত্তায় সাময়িক অবস্থান নেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন,সামিয়ানা নেই বিষয়টি জানা ছিলো না। এক হাজার টাকা দিয়ে পলেথিনের সামিয়ানা কিনে এনেছি কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় টাঙ্গাতে পারিনি।
যোবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজন কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এবার আমাদের চট সংকট রয়েছে। ময়দানে মুসল্লিরা সামিয়ানার চট নিয়ে এসেছেন।তারা নিজ দায়িত্বে সামিয়ানা টানিয়ে নিয়েছেন। সন্ধ্যায় ময়দানে থাকা মুসল্লিরা বৃষ্টিতে কষ্ট করছেন।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী প্রথম ধাপ। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয় ধাপের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।