গণবাণী ডট কম:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৫ হাজার সদস্যা সমন্বয়ে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আইজিপি আরো বলেন, ইজতেমা নিয়ে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি।
তিনি বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে বয়ান মঞ্চ, বিদেশি খিত্তা ও পুলিশের কন্ট্রোল রুমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইজতেমার বিশেষ নিরাপত্তায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, ক্রাইম সিন ভ্যান, নৌ-টহল ও হেলিকপ্টার টহল থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সাদা পোশাকে এবং পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবে।
এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর কোনো পোস্ট বা ছবি আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্টোলিং জোরদার করা হয়েছে। কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটা দল দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, বিভিন্ন দল, গ্রুপ ও সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমা স্থলে যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। নিরাপত্তা পরিকল্পনা শুধু যে ইজতেমা স্থলে তা কিন্তু নয়, এ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেল স্টেশন থেকে শুরু করে, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের এলাকা থেকে শুরু করে, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ সকলে মিলে আমরা একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। র্যা ব, টুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান আছে, সকলে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিককল্পনা গ্রহণ করেছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশাল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ ডিএমপি ও জিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এবারের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নেবেন দিল্লীর মাওলানা স্বাদ কান্দলভীর অনুসারীরা।