গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন পেয়ারা বাগান এলাকায় বাসা থেকে ডেকে এনে কুপিয়ে এক যুবকের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে উত্তরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত যুবকের নাম মাসুদ (৩৫)। তিনি কিশোর গঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার চারতলা এলাকার সামছুল হকের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন মোগরখাল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি পুলিশের সোর্স ছিলেন। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মাসুদ পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করতো। এর সূত্র ধরে মাসুদ কিছুদিন পূর্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত আসামী সুমন ও আসলাম নামের দুজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছিল। পরে আসামি সুমন ও আসলাম জেল থেকে বের হয়ে তাদের সহযোগী আসামি তোতলা ফজলুর সহায়তায় শনিবার ভোরে মাসুদকে তার মোঘরখালের বাসা থেকে ডেকে আনে। পরে মহানগরীর বাসন থানাধীন পেয়ারা বাগান এলাকার একটি কারখানার পেছনে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং হাতের কব্জি কেটে হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে হাতের কব্জি এবং রামদা একটি বাশে ঝুলিয়ে রাখে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার উপ পরিদর্শক মতিউজ্জামান জানান, শনিবার সকালে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে আমরা খবর পাই মহানগরের বাসন থানাধীন পেয়ারা বাগান এলাকায় একটি পোশাক কারখানার পেছনে মানুষের একটি হাতের কব্জি কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে একটি বাঁশের মধ্যে মানুষের একটি বিচ্ছিন্ন হাতের কব্জি ও একটি ধারালো দা পরিত্যক্ত একটি বাঁশে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে হাতের মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, ওই ব্যক্তির নাম মাসুদ। তাকে ভোরবেলা পূর্ব শত্রুতার কারণে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপালে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় ওই ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রের আঘাত হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হলে পরে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু পরে তাকে জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজনে উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, তার স্বজনদেরকে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সম্ভবত রোববার তারা অভিযোগ দিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।