গণবাণী ডট কম:
কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশে পেয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। সে সমস্যার কথা বলতে গিয়ে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রসিকতা করে হিন্দিতে বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সামান্য সমস্যা হয়ে গেলো। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমি আমার রাঁধুনীদের বলে দিয়েছি, এখন থেকে তরকারিতে পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করে দিতে। পেয়াজের দাম কমলে পরে আবার খাব।
শুক্রবার ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ভারত সরকারের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ আপনারা বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে আমাদের মুশকিলে ফেলে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোনো পণ্য রফতানি বন্ধ করার আগে আমাদেরকে জানালে আমরা সংকট মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবসময় জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। তাই দেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের দুটি ব্যবসায়ী গ্রুপের সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রসঙ্গত গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যূনতম মূল্য টন প্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয় ভারত। একদিন পর বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বাড়ে প্রায় ১৫ টাকা। এর পর আরও কয়েক দফা দাম বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি পেঁয়াজ বর্তমানে ১০০ টাকার বেশী করে বিক্রি হচ্ছে।