গণবাণী ডট কম:
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে আসা এই বৃষ্টিতে শীতে কাতর মানুষদের কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। অপরদিকে জানুয়ারি মাসে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৬ জানুয়ারির পর একটি, মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি মাঝারি এবং মাসের শেষ সপ্তাহে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এসব কারণে শীত, বৃষ্টি আর শৈত্য প্রবাহে মানুষের ভোগান্তি বাড়তে পারে।
বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হবে। সে অনুসারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতেই। রাত ১টা হতে রাজধানী ও আশপাশের জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন রাস্তায় পানি ও কাঁদা জমে গেছে। এছাড়া বুধবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া দেশের সব স্থানেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার এ বৃষ্টিপাত আরো বাড়বে। তবে এখনো কোনো স্থান থেকে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া যায়নি।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৬ জানুয়ারি পর থেকে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ১০ জানুয়ারির পর মাসের মাঝামাঝি একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তাপমাত্রা হতে পারে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাসের শেষদিকে আসবে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তখন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে চলে আসতে পারে। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুউদ্দিন আহমেদ।
পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত শুরু হলেও যারা আবহাওয়ার খবর রাখেন না তাদের কাছে শীতকালের এ বৃষ্টিপাত অপ্রত্যাশিতই। আর এ কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের, বিশেষ করে শীতবস্ত্র কেনার সক্ষমতা নেই যাদের তাদের এই বৃষ্টি ও প্রচণ্ড শীতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।
সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেকটি অঞ্চল বাঘাইছড়ি ও এর আশপাশে শীতের তীব্রতা হবে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
সরকারের প্রস্তুুতি :
শৈত্যপ্রবাহের সময় কেউ যাতে শীতে কষ্ট না করে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অক্টোবরে শীতের পূর্বাভাস পাওয়ার পর প্রত্যেক জেলায় শীতবস্ত্র পাঠিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৬৪ জেলায় ৭ লাখ ২১ হাজার ৮০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ৬৪ জেলার জন্য ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি শুকনো ও অন্যান্য খাবারের কার্টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসীন উপস্থিত ছিলেন।