গণবাণী ডট কম:
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় জরুরি অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না সে প্রশ্নে আজ বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাবে। গত ডিসেম্বরে দ্য হেগের আদালতে অনুষ্ঠিত মামলার শুনানিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষায় অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত নিধন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার অভিযোগ—এই অভিযানে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ হয়েছে।
ঐ ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পর গত বছরের ১১ নভেম্বর অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা করে আফ্রিকার ছোটো গাম্বিয়া। গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। গাম্বিয়াকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
শুনানিতে গাম্বিয়া আদালতের কাছ থেকে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ কামনা করে। দেশটির আইনজীবীরা আদালতকে জানান, এখনো গণহত্যা হচ্ছে, মিয়ানমারকে তা বন্ধ করতে বলতে হবে। গণহত্যায় জড়িতদের যথাযথ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে এবং গণহত্যার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।