গণবাণী ডট কম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়তার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সফিপুর আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম জাতীয় সমাবেশের কুচকাওয়াজসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আপনারা (আনসার বাহিনী) দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী হিসেবে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা, আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করে জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে সমর্থ হবেন।
প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আনসার বাহিনীর সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান। কেননা, তাঁর সরকার এক্ষেত্রে অবদান রাখতে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
‘দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী হিসেবে আপনাদের (আনসার) উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা ।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখা এবং এ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একযোগে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ অচিরেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারব-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
এরআগে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে অভিবাদন জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী একটি সুসজ্জিত খোলা জীপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
দৃষ্টান্তমূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ৮টি ক্যাটাগরিতে ১৪৩ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের মধ্যে ‘সেবা’ ও ‘সাহসিকতা’ পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে মরহুম আনসার সদস্য গোলাম মোস্তফার সহধর্মিনীর হাতে তাঁর (গোলাম মোস্তফা) মরণোত্তর পদক তুলে দেন।
পরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পরিবেশনায় পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অন্ষ্ঠুান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং আসনার সদস্যদের দরবারেও যোগ দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম তুলে ধরা নাটিকা, গীতিনাট্য এবং গম্ভীরা পরিবেশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে আনসার একাডেমি প্রঙ্গনে একটি গাছের চারা রোপন করেন এবং কেক কাটেন।
সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে সমবেত হয়েছেন। ১৯৮০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার বাহিনী গঠন করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দিনটি জাতীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে পালন করে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।