গণবাণী ডট কম:
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে আরো ৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে। এই সময়ের মধ্যে ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ৪১ জন শনাক্ত হয়েছে। যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৩ জন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার নির্ধারিত ও নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন যারা মারা গেছেন তাদের বয়স ৪১ থেকে ৬০এর মধ্যে। এদের দুজন ঢাকার বাসিন্দা। বাকিরা ঢাকার বাইরের। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ৪১ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উভয় দিক দিয়েই সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সবোর্চ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১৬৪ জন। নারায়ণগঞ্জ করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জন নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা। এছাড়া কুমিল্লা, কেরাণীগঞ্জ ও চট্টগ্রামেও এক জন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। নতুন যারা আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৬০৬ জন। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১০ হাজার ১৯০ জন। প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১২৬ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৬৭ হাজার ১১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫২ জন ।
এসময় রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলায় আইসোলেশন শয্যা ও আইসিইউ’র হিসাব সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়। তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীতে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০টি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৪৩টি। সব মিলিয়ে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা ৭ হাজার ১৯৩টি। এসব আইসোলেশন হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ১১২টি। আর ডায়ালাইসিস বেডের সংখ্যা ১৪০টি। তবে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।