গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব মহামারি করোনাভইরাস বা কোভিড ১৯ এ মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এসব প্রাণহানির অধিকাংশ ঘটেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহান নগরীতে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর প্রথম থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩ লাখ ১৪০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ লাখ ৩ হাজার ৭১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬১৪ জনে, ইতালিতে ৩১ হাজার ৩৬৮ জনে, ফ্রান্সে ২৭ হাজার ৪২৫ জনে এবং স্পেনে ২৭ হাজার ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে, বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের তালিকায় ঝড়ের গতিতে ওপরের দিকে এগোচ্ছে রাশিয়া। ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে সংক্রমণ প্রায় ১০ হাজার বেড়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এর আগে একটানা আট দিন ধরে দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। রাশিয়ায় সংক্রমণের এই বৃদ্ধি ইউরোপের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সংক্রমণের হার বাড়া নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষা বেশি হওয়ার কারণেই এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একই কথা বলেছেন। প্রতিদিনই দেশে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার হার বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। রাশিয়ায় ইতিমধ্যেই ৬২ লাখ মানুষকে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়ালেও আমেরিকা বা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পুতিনের দেশে করোনার কারণে মৃতের সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। সেদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৪৫ জন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ তার আক্রান্ত হওয়ার করুণ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন এ সময় তার ডাবল নিউমোনিয়া হয়েছিল। তিনি এবং তার স্ত্রী দু’জনেই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। পেসকভ করোনা ভাইরাসকে চরম রক্তচোষা বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ায় ফুসফুস খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।
ভারতসহ অন্যান্য দেশের অবস্থা :
ভারতে এক দিনে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনার হানায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৫৪৯ জনে।
জাপানের ৪৭টির মধ্যে ৩৯টি এলাকাতেই তুলে নেওয়া হবে জরুরি অবস্থা। তবে টোকিও, হোক্কাইডো এবং ওসাকায় থাকবে কড়াকড়ি। ৬ মে পর্যন্ত জাপানে প্রাথমিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি ছিল এর পর সেটা ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। স্কুল, ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত বন্ধ আছে। জাপানে ১৬ হাজার করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া গেছে।