নিজস্ব প্রতিবেদক, গণবাণী ডট কম, কাপাসিয়া :
কোরবানির পশুর হাটে তোলার আগে পশুর পেটে পানিয়ে ঢুকিয়ে মোটা করার অপরাধে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক বেপারীকে ভ্যাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসা : ইসমত আরা।
জানা যায়, পশুকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় মোটা দেখানোর জন্য পেটে পানি ঢুকানো (পানি খাওয়ানো) হয়। প্রথমে গাছের সঙ্গে পশুটিকে (গরু বা মহিষের) মাথা উপরের দিকে উঁচিয়ে দড়ি দিয়ে ঘাড় বেধে গলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পাইপ। পরে সেই পাইপ দিয়ে পানি ঢেলে টইটম্বুর করা হয় পেট। এতে পেট অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করে বড় হয়ে যায়, ফলে গরু বা মহিষটিকেও মোটাতাজা দেখায়। এতে করে পশুকে তারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। কোরবানির পশুর হাটে উঠানোর আগে কিছু অসাধু ব্যাপারী বেশি মুনাফার জন্য পশুর সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণই করে আসছিল।
এমন ঘটনা জেনে আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা : ইসমত আরা। একজন ব্যাপারীকে হাতেনাতে ধরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
দন্ডিত ব্যাপারীর নাম মো. বাশার (৪৮)। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. ইসমত আরা জানান, আজ ছিল আমরাইদ বাজারের সাপ্তাহিক হাট। হাটে উঠানোর আগে কয়েকজন ব্যাপারী বাজারের পশ্চিম পাশে একটি পুকুর পাড়ে গরু বা মহিষের পেটে পাইপ দিয়ে পানি ঢুকাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘ সেখানে গিয়ে ১৩টি মহিষকে ওই প্রক্রিয়ায় পেটে পানি ঢোকাতে দেখে একজন ব্যাপারীকে হাতেনাতে ধরা হয়।’ তিনি জানান, এটা ভোক্তাকে ফাঁকি দেওয়ার অপরাধ। ফলে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪৬ ধারা অনুযায়ী ওই ব্যাপারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অভিযানটি টের পেয়ে একই প্রতারণায় যুক্ত অন্য ব্যাপারীরা পালিয়ে যায়।