নিজস্ব প্রতিবেদক, গণবাণী ডট কম, কাপাসিয়া :
পূর্ব শত্রুতার জেরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক যুবককে খুন করা হয়েছে। কাপাসিয়া থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত যুবকের নাম ইদ্রিস (২৮)। তিনি উপজেলার ইউনিয়নের সালুয়ারটেক গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি টোক ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে ইদ্রিসকে সোমবার রাত সাড়ে বারোটার পর যেকোনো সময় পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে টোক বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদের ব্যবসার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো। কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করে সে ঐ ম্যানেজারের কাজ ছেড়ে দেয়। এনিয়ে মালিকপক্ষের সাথে তার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তবে প্রকৃত গঠনা কি তদন্তে জানা যাবে।
মৃত্যুকালে ইদ্রিসের স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
ইদ্রিসের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, গত সোমবার রাতে খাবার খেয়ে টোক বাইস মোড়ে চা খাওয়ার কথা বলে ইদ্রিস বাসা থেকে বের হয়। পরে সে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত বাসায় না ফিরলে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তা বন্ধ পায়। পরে আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত জনদের ফোন দিয়েও তার কোনো সন্ধান মিলেনি। মঙ্গলবার সকালে টোক বাইপাসের পশ্চিমপাশে পুকুরের পাড়ে ইদ্রিসের মৃতদেহ দেখতে পায়। পড়ে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে থানায় খবর দেয়। সুমাইয়া আরো জানান, রবিন ভূইয়ার ভাগিনা জাহিদের সাথে তার স্বামী ইদ্রিসের বিরোধ চলছিল। জাহিদ গত চার-পাঁচদিন আগে টোক বাইপাসে ইদ্রিসের বুকে প্রকাশ্যে অস্ত্র ধরেছিল। গত সোমবার আবারও জাহিদ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল বলে ইদ্রিস তাকে জানিয়েছিল। তাই জাহিদ ও তার সঙ্গীরাই ইদ্রিসকে খুন করেছে বলে তিনি দাবি করেন এবং খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চান।
খবর পেয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জহিরুল ইসলাম ও কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদের ঘরে তল্লাশি চালান। এ সময় তার ঘর থেকে অত্যাধুনিক একটি বিদেশী রাইফেল ও একটি পিস্তল সহ ৮ টি ম্যাগজিন, ৬২ রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।